সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে বড় একটি চালিকাশক্তি। মহামারি কোভিড-১৯ সংঙ্কটে বিশ্বমন্দার সময়ও দেশের অর্থনীতির ওপর কোন আঁচ লাগতে দেননি দেশপ্রেমিক প্রবাসী বাংলাদেশিরা।






দেশের প্রতি বড় ধরনের মমত্ববোধ আছে বলেই দেশের উন্নয়নে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন তারা।
তাই দেশের জন্য অনেক বড় অবদান রাখছেন বলেই তাদেরকে নানা উপাধিতে ভূষিত করে কখনো বলা হয় রেমিট্যান্স যো;দ্ধা, রেমিট্যান্স সৈনিক, দেশের অর্থনীতির অক্সিজেন যোগানদাতা, দেশের অর্থনীতির প্রাণ, চালিকাশক্তি, প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে একেকজন রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়নের কারিগর।






কিন্তু এতসব উপাধিতে সম্মানের জায়গায় রাখার পরও প্রবাসীরা কি তাদের সুযোগ-সুবিধাটুকু ঠিক মতো পাচ্ছেন? নাকি অবহেলিত।
এমন সব প্রশ্ন রেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীরা বলেন, দেশের এয়ারপোর্টে কন্ট্রাক্ট বাণিজ্য, ইমিগ্রেশনে হয়রানি, লাগেজ সমস্যা, পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রলি না থাকায় মাথায় বা কাঁধে নিয়ে প্রবাসীদের লাগেজ বহন, দেশের বাস স্ট্যান্ড ও লঞ্চ টার্মিনালেও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের হয়রানি।






জানা গেছে, লঞ্চ টার্মিনাল ও বাসস্ট্যান্ডের নানা রকম হ;য়;রানি থেকে বাঁচতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে অবতরণ করা দূর-দুরান্তের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া যাত্রীদের অনেকে নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে লঞ্চ টার্মিনাল বা বাস স্ট্যান্ডে যাওয়ার আগেই তাদের মালামাল কুরিয়ার সার্ভিসে নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। ফলে নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত প্রবাসীরা পদে পদে পান দুর্ভোগ, লা;ঞ্ছ;না আর তি;র;স্কা;র।






আবার পাসপোর্ট নবায়ন করাতে গিয়ে নানা রকম জটিলতা। বিশেষ করে ই-পাসপোর্ট করাতে দিলে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য ঠিক আছে কিনা তা দেশে তদন্তের নামে হয়রানি, বিলম্বে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া, পুরাতন পাসপোর্টে থাকা তথ্যের সাথে নবায়নকৃত নতুন পাসপোর্টের তথ্য বা শব্দগত বানান ঠিক আছে কিনা তা ভালোভাবে না দেখা,
নবায়নকৃত পাসপোর্ট দেশ থেকে সময় মতো না আসায় বিশেষ কোন প্রয়োজনে দেশে যেতে না পারা, পুরাতন পাসপোর্টে এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ভিসা নবায়নের কাজ করাতে পারলেও হাতে লেখা মেয়াদ বাড়ানো ওই পাসপোর্টে দেশে গিয়ে পুনরায় আসার সুযোগ না থাকা।






অপরদিকে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠালে নানা অজুহাতে গ্রাহকের পরিবার-পরিজনদের দ্রুত সময়ে না পাওয়া, আবার ব্যাংকে টাকা তুলতে গিয়ে কখনো কখনো হয়রানির শিকার হওয়া।
তাই যারা রেমিট্যান্স নামের সোনার ডিম পেড়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাদের নিয়ে এত অবহেলা কেন?






এমন অসংখ্য প্রশ্ন প্রবাসীদের। তাই বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরা যেন আরো ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন সে কথাটি মাথায় রেখে তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া জরুরি বলে মনে করেন প্রবাসীরা।