সিলেটে জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা জালাল উদ্দিন পরিবারের হাল ধরতে উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত গিয়েছিলেন।
দীর্ঘ ১২ টি বছর ধরে তিনি সেখানে কাজ করে আসছেন। এর মধ্যে কয়েকবার তিনি দেশে আসা-যাওয়া করেন।






আগস্ট রবিবার বাংলাদেশে আসতে টিকিটও কাটলেও বাসা থেকে এয়ারপোর্টে যাওয়ার সময় হৃ;দ;রো;গে আ;ক্রা;ন্ত হয়ে তিনি মৃ;ত্যুবরণ করেন।
এক সন্তানের জনক জালাল উদ্দিনের মরদেহ দেশে আনতে আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলাপ আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। রবিবার দুবাইয়ের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি মারা যান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরিবারের হাল ধরতে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর জনকল্যাণ মোহাম্মদপুর গ্রামের মোহাম্মদ রাশিদের ছেলে মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন দীর্ঘ এক যুগ পূর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান।






সেখানে গিয়ে কাজ কর্ম করে ভালোভাবেই চলিয়ে যাচ্ছিলেন সংসার। ফলে মাঝেমধ্যে স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের টানে তিনি দেশেও আসতেন। সর্বশেষ গেল ২ বছর আগে তিনি দেশে এসেছিলেন।
আবার দেশে আসতে গেল কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে আসার টিকিট কাটেন। তার মধ্যে প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও সারেন।
রবিবার সকালের ফ্লাইট ধরতে তিনি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টায় এয়ারপোর্টে যেতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। এসময় তার ভাতিজা খলকু মিয়াসহ অন্যরা দেশে নিয়ে আসার জন্য লাগেজগুলো গাড়িতে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।






এমন সময় জালাল জুতা পড়তে চেয়ারে বসতে গেলে বুকে ব্য;থা অনুভব করে মাটিতে লুটে পড়েন। সাথে সাথে ভাতিজাসহ অন্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃ;ত ঘোষণা করেন।
রেমিট্যান্সযো;দ্ধা জালাল উদ্দিনের মৃ;ত্যু;র সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভাতিজা রুনু মিয়া। তিনি বলেন, চাচা প্রায় এক যুগ আগে দুবাই গিয়েছিলেন। তিনি বছর দুয়েক পরপর দেশে আসতেন। এবারও দেশে আসার জন্য টিকিট কেটেছিলেন।






এয়ারপোর্টে যাবেন এমন সময় তিনি হৃ;দ;রো;গে আ;ক্রা;ন্ত হন। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃ;ত ঘোষণা করেন। জালালের মরদেহ দেশে আনা হবে কিনা এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা আলাপ আলোচনা করছি। দেখি কি করা যায়।