কাতার এয়ারওয়েজ আমার সঙ্গে যে ন্যাক্কারজনক আচরণ করেছে, তার বিচার চাই……..
নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার মেলায় যাওয়ার জন্য ভিসা পেয়েছিলেন জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা ও নওগাঁর সাপাহারের বাসিন্দা সোহেল রানা। শুক্রবার (৫ আগস্ট) কাতার এয়ারওয়েজে ঢাকা-আমস্টারডাম টিকিটও কিনেছিলেন তিনি।






ফ্লাইট ছিল ভোর ৪টা ২০ মিনিটে (ফ্লাইট নং কিউ আর ৬৪৩ ও কিউ আর ২৭৩)।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে টিকিট, ভ্যাকসিন কার্ডসহ প্রয়োজনীয় কাগজ দেখিয়ে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করেন তিনি।
কোনো ঝামেলা ছাড়া ইমিগ্রেশনও পার হন। নির্দিষ্ট সময়ে কাতার এয়ারওয়েজে উঠতে গেলে আ’ট’কে দেন দায়িত্বরত স্টাফরা।
পরে আর ওই ফ্লাইটে নেদারল্যান্ডসে যেতে পারেননি তিনি।
সোহেল রানার অ’ভি’যোগ, কাতার এয়ারওয়েজের কর্মকর্তারা তার পাসপোর্ট দেখে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ করে পাসপোর্ট, বোর্ডিং পাস রেখে দিয়ে পাশে দাঁড়াতে বলেন। তখন তিনি তাদেরকে জিও কপি, এলওআই, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার কথা বলেন।
তিনি নিজ হাতে ভিসা, পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। ফলে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। এরপরও তারা শত শত যাত্রীর সামনে তার সঙ্গে খারপ আচরণ করেন।






সোহেল রানা বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে আমি দ্রুত ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে গিয়ে ঘটনা বলি। আমার ইমিগ্রেশন করা কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার আমাকে নিয়ে ৫ নম্বর গেটে গিয়ে কাতার এয়ারের কর্মকর্তার কাছ থেকে পাসপোর্ট ও যাবতীয় ডকুমেন্ট সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরের ভিসা বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভিসা সঠিক বলে মত দেন।
এরপর বিমান ছাড়ার আগে এসআই দেলোয়ার আমাকে সঙ্গে নিয়ে ৫ নম্বর গেটে কাতার এয়ারের স্টাফের কাছে ভিসা সঠিক বলে জানান এবং আমার বিমানে যাত্রার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ করেন।’






তিনি আরও বলেন, ‘এসআই দেলোয়ার কাতার এয়ারের কর্মকর্তাকে রাষ্ট্রীয় জিও, এলওআই, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তি, গণমাধ্যমে নানা প্রতিবেদন সব কিছু বলেন। এসব দেখে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কাতার এয়ারওয়েজ আমার বিমানযাত্রা নাকচ করে বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ বরাবর প্যাসেঞ্জার অফলোডের জন্য আবেদন করেন।
এরমধ্যে আমার ফ্লাইট বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। ইমিগ্রেশন পুলিশ বহু চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর কাতার এয়ারের আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি জিডি করে আমার পাসপোর্টে ইমিগ্রেশন সিল বাতিল করেন।’






সোহেল রানা এমন ঘটনার শি’কা’র হয়ে শনিবার (৬ আগস্ট) ফেসবুকে একটা পোস্ট দেন। তার ওই পোস্ট ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ওই স্ট্যাটাসে তিনি এ অন্যায়ের ’বি’চা’র চেয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাতার এয়ারওয়েজ আমার সঙ্গে যে ন্যা’ক্কারজ’নক আ’চ’র’ণ করেছে, তার বিচার চাই।
কাতার এয়ারের কর্মকর্তরা আপত্তিকর ও অন্যায় অ’ভি’যো’গ তুলে আমাকে বি’মানে উঠতে দেননি। অথচ বোর্ডিং কার্ড এবং ইমিগ্রেশন ছাড়পত্র শেষে একজন আন্তর্জাতিক যাত্রীর সঙ্গে এ ধ’রনে’র ঘৃ’ণ্য আ’চর’ণ আ’ন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’






তিনি বলেন, ‘বিমানে ওঠার আগে যাত্রা বাতিল করে কাতার এয়ারওয়েজ আমার স’ম্মান’হা’নি করেছে। পাশাপাশি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিও করেছে।
ইউরোপের অনেক বায়ারদের সঙ্গে আমার পূর্বনির্ধারিত মিটিং বাতিল হয়েছে, যা আম রপ্তানি রিলেটেড ছিল।
ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ করায় রাষ্ট্রীয় সুনামও ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমি এর ক্ষতিপূরণসহ সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেবো। নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসিতেও লিখিত অভিযোগ করবো।’






তবে এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতার এয়ারওয়েজের দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।