মধ্যপ্রাচ্যের রাজা বাদশাহ শেখদের পোশাক তৈরি হচ্ছে বগুড়ায়। ‘বিস্ত’ নামের দৃষ্টিনন্দন ও উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী এই পোশাক তৈরি করছে মমতাজ বিস্ত মহল। যার ক্রেতা সৌদি আরব, কাতার ও আরব আমিরাতের ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা। এতে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরার পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে।






প্রায় ৯ বছর আগে সৌদিপ্রবাসী রায়হান আলী বগুড়ার সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে কয়েকজন কারিগর নিয়ে পোশাক কারখানা শুরু করেন। তবে সেখানে সাধারণ শার্ট, প্যান্ট বা গেঞ্জি তৈরি হয় না।
তৈরি হয় মধ্যপ্রাচ্যের অভিজাত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ধরনের পোশাক, যার নাম বিস্ত । দীর্ঘদিন সৌদিতে থাকার সুবাদে এই পোষাক তৈরির কাজ র’প্ত করেন তিনি। কাতারের বিস্ত আল সালেম ও বিস্ত আল সালেম নামের দুই প্রতিষ্ঠানও রায়হানের কারখানার পোশাক কিনে।






এসব পোশাক তৈরিতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়ার উপযোগী এক ধরনের বিশেষ কাপড় ব্য’বহৃত হয়। যা আসে জাপান থেকে। এছাড়া প্রয়োজন হয় স্বর্ণখচিত জরি। ভারতীয় জরিও ব্যবহৃত হয় তুলনামূলক কম দামের পোশাকে। মূলত এর এর দাম নির্ভর করে পোশাকে খচিত নক’শার ওপর। প্রতি মাসে ১৫০ থেকে ২০০টি পোশাক রপ্তানি করা হয় কাতার, দুবাই ও সৌদি আরবে।
পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বিস্ত তৈরি করছেন বগুড়ার এই কারখানায়। হাতে তৈরি নান্দনিক এই পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশকে তুলে ধরা হচ্ছে বলে জানান উদো’ক্তা রায়হান আলী। রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি মেড ইন বাংলাদেশ লেখা এই পোশাক মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে বাংলাদেশের সুনাম বাড়াবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।