ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার হু’মকির অভি’যোগ উঠেছে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার বি’রু’দ্ধে। এ সং’ক্রান্ত একটি অ’ডিও ফাঁ’স হয়েছে। অডিওতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘… বেশি চ্যাটাং চ্যাটাং করতেছোস। এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁ’ড়া ফেলমু। চারমাস হয়ে গেছে ফাই’জলামি শুরু করছিস।






শুক্রবার (১৯ আগস্ট) অডিওটি জাগো নিউজের প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। অ’ডিওতে যে কথাগুলো শোনা যাচ্ছে, তা নিজের বলেও স্বীকার করেছেন তামান্না জেসমিন রিভা। ঘটনাটি ঘটেছে ইডেন কলেজের রাজিয়া হলে। অডিওতে রিভাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘তোরা লিগ্যাল তাতে আমার… গেছে। কোন হে’ডাম দেখাইতে আসিস তোরা। আমার পলিটিক্যাল রুমে তোরা লিগ্যা’ল থাকবি কি না, সেটা তোদের বিষয়। কে কে টাকা জমা দিছিস? আমারে দিছিস? আর কে লিগ্যা’ল?’
এসময় পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ও তো অ’সুস্থ বাসায় গেছে?’ জবাবে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘২০২ (রুম নম্বর)-এ আর লিগ্যাল কে? তোরা লিগ্যাল তাতে আমার কি… গেছে? বল? আমি কি…… তোদের। চ্যাটাং চ্যাটাং করতেছোস। এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁ’ড়া ফেলমু। চারমাস হয়ে গেছে ফাইজ’লামি শুরু করছিস।’






এসময় সুমনা মীর নামে এক মেয়েকেও গা’লম’ন্দ করতে শোনা যায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতিকে। তিনি বলেন, ‘বুঝিস না, পলি’টিক্যাল রুমে থাকিস। তোদের লি’গ্যাল করাইছে, তাতে আমার …. কি? আমি যদি একটা সিট না দেই, ২০২ থেকে তোদের কোন বা’প সিট দেবে? ম্যাডামরা দেবে? ক্ষ’মতা আছে ম্যাডামদের?’ ‘ম্যাডামদের ক্ষ’মতা আছে, আমাদের রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার? ইডেন কলেজের প্রিন্সিপালেরও ক্ষ’মতা নেই, এ রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার। একদম গ’লায় পা’ড়া দিয়ে ধরতে ই’চ্ছা করতেছে। আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে যে রুমে বলবো, সে রুমে যাবি। আমার সঙ্গে হ্যা’ডাম দেখাইতে আসে!’






ইডেন কলেজ প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে ছাত্রলীগ নেত্রী রিভাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘একটা সিঙ্গেল মেয়ে যদি ওই রুমে এসে কন্ট্রো’ল করতে চায়, সে হোক নেত্রী, ইডেন কলেজের প্রিন্সিপাল ম্যামও কোনো মেয়ে দিতে পারবে না। এটুকু সে’ন্স থাকা উচিত ছিল। রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নাই।’ অ’ডিও’র বিষয়ে জানতে চাইলে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভা জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেয়েরা প্রোগ্রামে যায়নি। তাই তাদের একটু বলতে আসছিলাম। তারা প্রোগ্রাম না করায় তাদের রুম থেকে শি’ফট করার কথা বলছি।’
তিনি বলেন, ‘এখন এ বিষয়টি যদি সাংবাদিকরা নি’উজ করে, তাহলে আর কী বলার? হল প্রশাসন তো আর সবাইকে রুম চেঞ্জ করাতে পারবে না। এটা আমার দেখভাল করা রুম। আমি এখানে যেভাবে ভাল হবে, সেভাবে শিফট করাবো। এটা আমার এখতিয়ার। এ বিষয়ে শিক্ষা’র্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা বলেন, ‘কথা বললে সমস্যা হবে।’






তবে তারা স্নাতক শেষবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানান। ভু’ক্তভো’গী ছাত্রীরা বলেন, আমরা এখানে লিগ্যা’ল রুমে থাকি। ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম না করায় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আমাদের বের হয়ে যেতে বলেন। না গেলে দেখে নেওয়ার হু’মকিও দেন। অডিও রেকর্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘আমি রেকর্ডটি শুনিনি। তবে হল থেকে কাউকে বের করতে হলে, তা হল কর্তৃপ’ক্ষই দেখবে।
কেউ বের করার কথা বলতে পারে না। এরকম কেউ বলে থাকলে হল কর্তৃপক্ষ বিধি অনু’যায়ী ব্যবস্থা নেবে। ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। হলের বিষয়টি হল কর্তৃপক্ষ দেখবে। এখানে অন্য কা’রও কথা বলার কথা না। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুত্রঃ জাগো নিউজ।