ভিসা ও পাসপোর্ট জটিলতার কারণে যাত্রা স্থগিত (অফলোড) হওয়া আফগান তরুণী হুসনা (২৪) অবশেষে ঢাকা ছেড়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৫টায় তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা করেন।






বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার জানিয়েছে, শনিবার সোয়া ৫টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি সূত্র জানায়, আফগান তরুণী আজ দুবাই যাবেন। আগামীকাল রোববার তিনি নিজ দেশে ফেরত যাবেন। সরাসরি কাবুলে বাংলাদেশ বিমানের কোনো ফ্লাইট না থাকায় তাকে দুবাইয়ে ট্রানজিট নিতে হচ্ছে।






ঢাকা থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে উড়াল দেয়ার আগে যাত্রার যাবতীয় ফরমালিটি তিন ঘণ্টা আগেই সেরে নেয় বিমান কর্তৃপক্ষ। সোয়া ৫টায় বিমানের সেই ফ্লাইটটি তাকেসহ অন্য যাত্রীদের নিয়ে দুবাইয়ের পথে উড়াল দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেশে ফেরত যেতে পেরে আজ সেই তরুণী অনেক খুশি ছিলেন। যাওয়ার সময় তাকে ঘটনার দিন সাহায্যকারী নারী ফ্লোরাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তাকে ধন্যবাদ জানান।






এরআগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিমানের দুবাইগামী একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন সেফারি। এদিন দুবাই যাওয়ার জন্য বিমানের সিডিউল অনুযায়ী শাহজালাল বিমানবন্দরে আসেন তিনি। কিন্তু টিকিট জটিলতার কারণে তাকে বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় নির্ধারিত ফ্লাইট ছেড়ে গেলে বিমানবন্দরের ভেতরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সেই ২৪ বছর বয়সী তরুণী। বিষয়টি নিয়ে পরদিন শুক্রবার সকালে ঢাকা মেইল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি বেশ আলোচনায় আসে এবং






সেই তরুণীকে কীভাবে দেশে ফেরত পাঠানো যায় তা নিয়ে জোরালো আলোচনা শুরু হয়। ২৪ ঘণ্টা পর সেই তরুণীকে দেশে ফেরত পাঠানো হলো। জানা গেছে, নিজ দেশে যাওয়ার জন্য আফগান তরুণী হুসনা অনলাইনে টিকেট কিটেছিলেন।
কিন্তু বিমানবন্দরে সঠিক সময়ে পৌঁছালে তার দুবাইয়ে ট্রানজিট নেওয়ার মতো কার্ডটি (অনুমতিপত্র) ছিল না। ফলে সেদিন তার যাত্রা স্থগিত করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যদিও বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছিল।






তার যাত্রা বাতিল করা হয়েছে জেনে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কাউন্টারের সামনেই সেদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
এসময় ফ্লোরা নামে এক কেবিন ক্রু তাকে সান্ত্বনা দেন এবং তার সেবা-শুশ্রুষা করেন। এরপর সেই তরুণীকে ইমিগ্রেশন পুলিশ একটি হোটেলে রাখে।